জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানী ফের কাশিমপুর কারাগারে।
বি এ রায়হান, গাজীপুর:
গাজীপুর মহানগরের বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আলোচিত ‘শিশু বক্তা’রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আবারও কামিশপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এ ফেরত পাঠোনো হয়েছে।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কাশিমপুর কেন্দীয় কারাগার পার্ট-২ পৌছে দিয়েছে বাসন থানা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জিএমপির বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ফারুক।
জিএমপির বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল ফারুক আরো জানান, গেল বুধবার ভার্চুয়াল শুনানীর মাধ্যমে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন্নাহার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে, তাকে গেল বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বাসন থানার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফতাজতে আনা হয়। রিমান্ড শেষ হওয়ায় আজ শনিবার মাদানীকে আদালত হাজির করা হলে আদালত তাকে করাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে, তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌছে দেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল ইসলাম অনেক তথ্য দিয়েছেন, এখন আমরা এসব তথ্য যাচাই করে দেখব। পরে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, গত ১১ই এপ্রিল ’শিশু বক্তা’রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্থানীয় টেকনগরপাড়া এলাকার বাসিন্দা যুবলীগ কর্মী মোস্তাফিজুর রহমান বাসন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় ১৮ এপ্রিল পুলিশ আদালতে রফিকুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। পরে গেল বুধবার আদালতের বিচারক শেখ নাজমুন্নাহার ভার্চুয়ালী শুনানীর মাধমে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ৭ এপ্রিল শিশুবক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে রাষ্ট্রবিরোধী উস্কানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) নেত্রকোনার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। তারপর র্যাবের ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জিএমপির গাছা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলা করা হয়েছে।
পরে, ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে (জিএমপি)‘র উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎমিশ জানান, রফিকুল ইসলাম মাদানীর মোবাইল জব্দ করে সেটি ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা উক্ত মোবাইল ফোনে আপত্তিকর এডাল্ট কনটেন্ট অশ্লীল পর্নো দেখার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি নিয়মিত পর্নোগ্রাফি ভিডিও দেখাসহ রাষ্ট্রিবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। একারণে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(৫)(ক) ধারা যুক্ত করা হয়েছে। এ মামলায় গত ২০ এপ্রিল মাদানীকে জিএমপির গাছা থানা পুলিশ দুই দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল।